বঙ্গ-নিউজ: রপ্তানিতে ক্রমাগত ভাবে সাফল্য এসেছে বাংলাদেশে। দুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিটি অর্থবছরেই বেড়েছে পণ্য রপ্তানি। তবে দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একটি মাইলফলক অর্জন করল রপ্তানি আয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন তথা ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
এরপর চলতি জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত শুধু পোশাক খাতেই রপ্তানি হয়েছে ৩২০ কোটি ডলার। অন্যান্য খাতের হিসাব জানা যায়নি। এদিকে চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরও দুদিন বাকি। সবমিলিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছাড়িয়ে গেল ৫০ বিলিয়ন তথা ৫ হাজার কোটি ডলার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই অর্জন ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ।
১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪.৮৪ কোটি ডলার। ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে সংখ্যাটি ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলারের (১০৭.৩৮ কোটি ডলার) মাইলফলক। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছাড়িয়েছে ১০০০ কোটি ডলার (১০৫২.৬২ কোটি ডলার)। ২০১০-১১ সংখ্যাটি ছিল ২২৯২.৮২ কোটি ডলার।
এরপর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩০১৮.৬৬ কোটি ডলার রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০৫৩.৫০ কোটি ডলারের পর চলতি অর্থবছরে ছাড়াল ৫ হাজার কোটি ডলার। পরিসংখ্যান বলছে, এই মাইলফলক ছোঁয়ার পর তেল রপ্তানিকারকদের হিসেব বাদ দিলে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর শীর্ষ ৫০ রপ্তানিকারক দেশের একটি।
দেশের এই রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোশাক খাতকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে এই খাতকে আরও বেশি চাঙ্গা করতে হবে। পাশাপাশি এই একটি খাতের ওপর নির্ভর না করে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করার চেষ্টা করতে হবে।