স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজ:সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হকের ত্রাণ বিতরণে উপকারভোগীর নামে স্লিপ বরাদ্দ দেওয়া সত্বেও কোনো ত্রাণ পায়নি কয়েকজন উপকারভোগী ।
শতাধিক উপকারভোগী ত্রাণ না পেয়ে রাগে ক্ষোভ বাজার ত্যাগ করে। সেই সাথে বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয়।আপদকালীন মুহূর্তে এমন তামাশামূলক ত্রাণ বিতরণ সুশীল সমাজ নিন্দা জানিয়েছেন।
রোববার (২৬ জুন) সকাল ১০ টার দিকে মধ্যনগর বাজারে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হকের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।ত্রাণ বিতরণের পূর্বে মধ্যনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপকারভোগীদের নামে স্লিপ বরাদ্দ দেওয়া হয়।স্লিপ দেখিয়ে উপকারভোগীরা ত্রাণ উত্তোলন করে। কিন্তু উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরসিংপাড়া গ্রামের জুনেল মিয়া, চাপাইতি গ্রামের ময়না মিয়া, অমল,খসরু,মোফাজ্জল,পলমাটি গ্রামের জুনাব আলী,চৌধুরী মিয়া,চামরদানী ইউনিয়নে বলরামপু গ্রামের তুহিন, কাশেন,মৌলা,নুরু মিয়া,তরিকুল, সাড়াকোনা গ্রামের আজিজুল, মানিকুল,ডালু’র নামে স্লিপ বরাদ্দ দেওয়া সত্ত্বেও কোনো ত্রাণ পায়নি তারা।
ত্রাণ না পাওয়া উপকারভোগীরা জানান,আমাদের নামে স্লিপ থাকার পরেও আমরা কোনো ত্রাণ পায়নি।সকালে ১০০ টাকা করে ট্রলার ভাড়া দিয়ে ত্রাণ আনতে গিয়ে স্লিপ নিয়ে আমরা সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকি। পরে হঠাৎ করে আমাদের জানানো হয় আমাদের নামে কোনো ত্রাণ বরাদ্দ নেই।এইটা আমাদের সাথে ত্রাণের নামে তামাশা করলো।
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সুজন মিয়া বলেন,বন্যায় আমার ওয়ার্ডের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ দেওয়ার নামে মানুষ কে এভাবে ডেকে নিয়ে অপমান করা ঠিক নয়।
মধ্যনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আজকে ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিতির হার বেশি হওয়ার কারনে অনেক উপকারভোগীর স্লিপ থাকার পরেও ত্রাণ পাননি।যারা ত্রাণ পায়নি পরবর্তীতে আমরা তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,যারা স্লিপ থাকার পরেও ত্রাণ পাননি। দেখি আমি তাদের সাথে কথা বলে কি করা যায়।