বঙ্গ-নিউজ:: মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন অব্যাহত আছে। অন্যদিকে ডলারের তেজি ভাবটা কোনোভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না। একদিকে আমদানি খরচ বৃদ্ধি, অন্যদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে, যা পূরণ করতে পারছে না রপ্তানি আয়। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম।
বাংলাদেশ ব্যাংক যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, সাধারণত অন্যান্য ব্যাংক বা খোলাবাজারে তারচেয়ে ৩-৪ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি হয়ে থাকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে ৯২ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। অন্যান্য ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ডলার বিক্রি করছে ৯৮-৯৯ টাকায়। অর্থাৎ, ডলারের বিপরীতে টাকা সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই।
ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কয়েকবার টাকার মান কমিয়ে নতুন বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। কিন্তু এতেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, ওপেন মার্কেটের ডিমান্ড অনুযায়ী ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। রিজার্ভ থেকে ডলার ছাড়া হচ্ছে।
তবে কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ বলছেন, টাকার মান কমিয়ে ডলারের মান ধরে রাখার চেষ্টা করায় অন্যান্য দেশের মুদ্রার সঙ্গে তৈরি হচ্ছে অসঙ্গতি।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ার লাভ-ক্ষতি দুটোই আছে। এতে উপকৃত হচ্ছেন রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা। অন্যদিকে আমদানিকারকদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাতে করে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেটা টের পাচ্ছে বাজারে পণ্য কিনতে গিয়ে।