বঙ্গ-নিউজ: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়ে গেল আজ। স্থাপিত হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশের সংযোগ। আমন্ত্রিত অতিথিরা ছাড়াও আড়ম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মাওয়া প্রান্তের সমাবেশস্থলে ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে টোল পরিশোধ করে সেতুতে উঠেছেন।
সব আনুষ্ঠানিকতার পর দুপুর ১টার দিকে অপেক্ষারত সাধারণ মানুষ সেতুর ওপর ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে আইনশৃখলা বাহিনী নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছিল সেতুর দুই প্রান্তে। সেসব কিছুকে উপেক্ষা করেই পদ্মা সেতুর ওপর উঠে পড়েছেন অনেকে।
বেলা ১টা ১৫ মিনিটের দিকে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর বাউন্ডারি টপকে পার হচ্ছেন শত শত মানুষ। কারও ঘাড়ে ব্যাগ, কারও হাতে মোবাইল। সবাই ওপরে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর জন্য বাজেট পাস হয় ২০০৭ সালে। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। নকশা পরিবর্তন ও দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কারণে ২০১১ সালে বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে বাজেটে যুক্ত হয় আরও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। চতুর্থ দফায় এই সেতুর বাজেট বৃদ্ধি পায় আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। অবশ্য এখনো এই বাজেটের পুরোটা খরচ হয়নি বলে জানা গেছে। সেতুর খরচের মধ্যে রয়েছে- ভূমি অধিগ্রহণ, সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, পুনর্বাসন ও পরিবেশ এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা।