বঙ্গ-নিউজ: একজন খন্দকার ইকবাল, বয়স ৪২ বছর। গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম থানা এলাকায়। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০০৫ সালে শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরিতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে সহকারী হিসাব রক্ষক পদে চাকরি হয় ইকবালের।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি একটি প্রকল্পের ৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। দুদক তদন্ত করে তাকে অভিযুক্ত করেছে। এরপর চাকরিচ্যুত করা হয় ইকবালকে।
এতেও থামেনি ইকবাল। আত্মসাতের টাকায় বউয়ের নামে কোম্পানি খুলেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক প্রাইভেট কোম্পানি ও একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে গড়ে তোলেন অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতারক এই খন্দকার ইকবাল ও তার স্ত্রীকে অস্ত্র ও জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, সরকারি সম্পদ আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত খন্দকার ইকবাল ও তার স্ত্রী হালিমা আক্তারসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের নামে বিভিন্ন নাম সর্বস্ব কোম্পানি রয়েছে।
দেশের বাইরে কানাডা ও আমেরিকায় আত্মীয়স্বজনের নামে কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও রয়েছে। বলা হচ্ছে, তার স্ত্রী হালিমা আক্তারের নামে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
র্যাব-৪ এর অপারেশন অফিসার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল বুধবার রাজধানীর সিদ্বেশ্বরী ও বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, জাল টাকার নোট, বিভিন্ন জমির দলিল ও নথিপত্রসহ ইকবাল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার খন্দকার ইকবাল(৪২) ও মোসা. হালিমা আক্তার (৪০) তাদের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।