স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজ:ঋণ কইরা ৫ কেয়ার জমিনও ধানের চাষ করছিলাম। আওরের হানিতে অর্ধেক জমিন তলইয়া গেছে গা।অনেক দিন ধইরা বৃষ্টি তাহনে যেইডি কাইট্যা মাড়াই কইরা লইছিলাম হেইডির মধ্যে ঘেরা উইটা গেছে।কয়েকটা দিন ধইরা রইদ উঠতাছে। অহন ঘেরা উডা ধানেই হুকাইতাছি।ধানের মধ্যে হঁচন আর গন্ধ ছুটছে।এই ধানেই চাউলেই আমরার খাওন লাগব।অহন ভাইবা হাইতাছিনা কিভাবে মহাজনের হরিশোধ করবাম।আমার পরিবারের ৮ জন ছেরি লইয়া হারা বছর কেমনে চলবাম।এইভাবেই দুঃখের কথা জানাচ্ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের কৃষানী দিলারা বেগম (৫০)।
একইভাবে মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের কৃষক খলিল মিয়া বলেন,আমি ৪০ কেয়ার জমিনে বোরো ফসলের চাষ করছিলাম। ১৬ কেয়ার জমিনের ধান কাটছিলাম।বাকি সব জমিন হানির নিচে ডুইবা গেছে গা।যার কারনে আমি মারাত্মক ক্ষতির শিকার হইছি।অহন হানির নিচ থাইকা ডোবে ডোবে ধান কাটতাছি।
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের রংচী গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নাফ বলেন, দুই হাল জমি তেভাগা দিছিলাম।১ লক্ষ টাকা ঋণ কইরা ১হাল নিজে করছিলাম। অহন কিভাবে আমার সংসার চালাইতাম আর কিভাবে ঋণ হরিশোধ করতাম ভাইবা পাইতাছিনা।
গড়াকাটা গ্রামের স্বামীহারা হতদরিদ্র কৃষানী মালেকা খাতুন বলেন,এরণ বিলে ৮ কাটা জমিনের মাধ্যে ধান আবাদ করছিলাম।হাওরের হানিতে এক রাইতে ৪ কাটা জমিনের ফসল তলইয়া গেছে।আমার স্বামী নাই ৬ সন্তান লইয়া অহন চলার মতো কোনো গতি নাই।সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার চলার কোনো উপায় পাইতাছিনা।
ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রথম পর্যায়ে যারা আমরা ৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে পাঠিয়েছি।দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে।