নিজস্ব প্রতিবেদক, বঙ্গনিউজঃ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সহযোগিতায় সিলেট শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গত ২০মে থেকে ২২মে ২২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী একটি কর্মশালা সম্পন্ন হয়।
এতে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য নাট্য নির্দেশক ড.সুদীপ চক্রবর্তী। সিলেট বিভাগের চারটি জেলার প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ অত্যন্ত আগ্রহ ও আনন্দের সাথে সফলভাবে সেই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। ফেসবুকে সেই কর্মশালার ছবি দেখে সমাপনী অনুষ্ঠানে অনেক দর্শকের সাথে মুরাদ খান নামে জনৈক ব্যক্তিও সেখানে আসেন। যার সাথে ফেডারেশানের নেতৃবৃন্দ ও সিলেট জেলা কালচারাল অফিসারের কোনো প্রকার পূর্ব পরিচয় ছিল না।
সমাপনী অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনা সেশনে জনৈক ব্যাক্তি মুরাদ খান বলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে ও আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।আয়োজক কতৃপক্ষ তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে আরণ্যক ঢাকার প্রাক্তন কর্মী এবং প্রাচ্যনাটের “কইন্যা” নাটকের নাট্যকার, সিলেট দর্পন থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়। সে আরও জানায় লন্ডনে “পূর্বনাট” নামে একটি থিয়েটার গ্রুপ পরিচালনা করে। এসব পরিচয় পেয়ে তাকে দর্শক হিসাবেই মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। উপস্থাপকের চেয়ারটি খালি ছিল বিধায় সে বক্তব্য রাখার পর খালি চেয়ারে বসে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি কিংবা গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর কোন প্রশ্নই আসেনা বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। সে কোন মুরাদ খান তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত কেউ তখন তার সম্পর্কে কিছু বলেনি। যার সম্পর্কে অভিযোগ তিনি যে সেই মুরাদ খান তা নিয়েও উপস্থিত আয়োজকবৃন্দ কেউ অবগত ছিলেন না।
পরবর্তীতে ফেইসবুকে কেউ পোস্ট দিলে তা আয়োজকদের নজরে আসে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক। তিনি যদি সেই কুখ্যাত ব্যক্তি হন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। অনিচ্ছাকৃত উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন, সংশ্লিষ্ট আয়োজকরা দ্রুত সম্ভব তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
অনিরুদ্ধ কুমার ধর সভাপতি মণ্ডলির সদস্য,জালালউদ্দিন রুমী সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ),তনু দীপ দাশ কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন,ধ্রুবজ্যোতি দে
নাট্যকর্মী,স্থানীয় সমন্বয়কারী (কর্মশালা)।