নিজস্ব প্রতিবেদক, বঙ্গনিউজঃ পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানিতে সিলেট নগরের অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে আছে। সিলেটে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি উপচে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সিলেটের নগর ও আশপাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সিলেটের প্রায় সব উপজেলাতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী রোববারের আগে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী রোববার পর্যন্ত সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। রোববার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টিপাত কমে পরের দিন সোম ও মঙ্গলবার আকাশ পরিষ্কার হবে। এরপর ফের বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত বুধবার কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ওই পয়েন্টে পানি ছিল ১৩ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ছিল ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
এদিকে সিলেটে সুরমা নদীর পানি ছিল ১১ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার,যা বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছিল ১১ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার। সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।কুশিয়ারা নদীর পানি গতকাল বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ ছিল ১৭ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ছিল ১৩ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার। সেখানে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার।
সারি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার বেল তিনটা পর্যন্ত নদীতে পানি ছিল ১১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার। ওই নদীর বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।সিলেটে পানিবৃদ্ধির পেছনে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত আর ঢলের ওপর নির্ভর করে। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত আট দিনে ২ হাজার ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখান থেকে নেমে আসা ঢলেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।