বঙ্গ-নিউজ: বাংলাদেশে আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারির আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার। হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। একটি রুলের প্রেক্ষিতে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে জানতে চেয়েছেন, পৃথিবীর কোন দেশে পিকে হালদারের কত টাকা এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলা সবশেষ অবস্থা কী?
আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ।
এছাড়া হাইকোর্ট মন্তব্য করেছেন, বিভিন্ন সময় আমাদের আদেশের কারণেই পিকে হালদার আজ আলোচিত ও অর্থপাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। ভবিষ্যতে আমরা এমন আদেশ দেব যে, পিকে হালদারসহ অন্যান্য অর্থপাচারকারীরা কোনো দেশেই শান্তিতে থাকতে পারবে না।
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন প্রশান্ত কুমার হালদার। অবশেষে গত ১৪ মে তাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। সেই রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, শুধু দুর্নীতি দমন কমিশনই (দুদক) প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই আত্মসাৎ করেছেন দেড় হাজার কোটি টাকা। সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ৬২ জন সহযোগীর মাধ্যমে এসব অর্থ পাচার করেছেন বলে জানা যায়।
প্রায় আড়াই বছর আগে দুদক যখন এসব নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে, তখন গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার। কানাডার বেগমপাড়ায় তার বিলাসবহুল বাড়ি আছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ পুলিশের আহ্বনে রেড অ্যালার্টও জারি করেছিল আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।