মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে ,পারাপারের অপেক্ষায় হাজার হাজার মোটরসাইকেল

Home Page » প্রথমপাতা » মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে ,পারাপারের অপেক্ষায় হাজার হাজার মোটরসাইকেল
শনিবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২২


শিমুলিয়া ঘাট, ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজঃ শিমুলিয়া ঘাটে ঈদকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়।শিমুলিয়া ঘাটে ঈদকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়।ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলে আসা যাত্রীদের উপচে পড়া ভির সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে ঘাটে আসছেন হাজার হাজার যাত্রী। মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপারে হিমশিম অবস্থায় ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে পদ্মা পাড়ি দিতে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন পারাপারে একটি রো রো, দুটি মিনি রো রো, দুটি কে টাইপ ও দুটি ডাম্পসহ ১০টি ফেরি চলাচল করছে। বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল রয়েছে ১নং ফেরিঘাটে। এই ঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কুঞ্জলতা ও ক্যামেলিয়াসহ কয়েকটি ফেরি পারা করছে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। এরপরও মোটরসাইকেলের চাপ কমছে না। পন্টুনের অভিমুখ থেকে পার্কিং ইয়ার্ড সড়কে শুধু মোটরসাইকেল।

অন্যদিকে স্পিডবোট ও লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লঞ্চে গাদাগাদি ভিড়, লঞ্চঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সিঁড়িতে যাত্রীদের দীর্ঘ জট থামছে না।

পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন আগে যাওয়ার প্রবণতার পাশাপাশি ফাঁকফোকর দিয়ে মোটরসাইকেল ঘাটে ঢুকে যাচ্ছে তার পরেও আমরা সুশৃঙ্খলভাবে পারাপারের ব্যবস্থা করছি। ঘাটে নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন জানান, নৌরুটে একটি রো রো, দুটি মিনি রো রো, দুটি কেটাইপ ও দুটি ডাম্পসহ মোট ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। কয়েক শত ব্যক্তিগত ও ছোট গাড়ি আছে। দীর্ঘ সারিতে রয়েছে চার হাজার মোটরসাইকেল।

বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান বলেন, রাতে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে বন্ধ হলেও সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ সচল রয়েছে। পাশাপাশি ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে। সকাল থেকেই লঞ্চ-স্পিডবোটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারে। বাড়তি যাত্রীর কারণে বেগ পেতে হচ্ছে।

সূত্রঃ ইত্তেফাক

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৫:৩৮ ● ৮১৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ