বঙ্গ-নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে নির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর চত্বরে আজ রোববার, ২৪ এপ্রিল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এর ফলে দেশে অগ্নি দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন এবং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন প্রমুখ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট ৪৫৬টি ফায়ার স্টেশন চালু রয়েছে। এর সঙ্গে ৪০টি নতুন করে যুক্ত হওয়ায় ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯৬টি। নতুন ৪০টি ফায়ার স্টেশনে ইতোমধ্যে জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রদান করা হয়েছে অগ্নি নির্বাপণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন করে ৪০টি ফায়ার স্টেশন চালু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সক্ষমতা আরও বাড়ল। এর ফলে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধ, জনজীবন ও জনগণের সম্পদ রক্ষা বহুলাংশে কমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের তথ্য মতে, নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশন হলো— চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, কিশোরগঞ্জের নিকলী স্থল কাম-নদী, ইটনা, অষ্টগ্রাম, হোসেনপুর, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া ফায়ার স্টেশন, ফরিদপুর সদর (পুনর্নির্মাণ), গাজীপুরের কাপাসিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর (পুনর্নির্মাণ) ও সিরাজদিখান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট, মাগুরা সদর (পুনর্নির্মাণ), জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ী (পুনর্নির্মাণ) এবং ঢাকার কল্যাণপুর ফায়ার স্টেশন।
এ ছাড়া যশোর সদর ও ঝিকরগাছা (পুনর্নির্মাণ), যশোর সেনানিবাস, যশোরের চৌগাছা ও কেশবপুর, মেহেরপুরের মুজিবনগর, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, সাতক্ষীরার দেবহাটা, নোয়াখালীর কবিরহাট, বি.বাড়ীয়ার বিজয়নগর, রাজবাড়ীর কালুখালী, খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা, মাদারীপুরের কালকিনি, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, নেত্রকোনার পূর্বধলা এবং বান্দরবানের থানচি ও রামু ফায়ার স্টেশন।