স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজ : ফসলরক্ষা বাঁধের অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোবারক হোসেন তালুকদার আবুল হাসেম নামের কৃষককে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মোবারক হোসেন তালুকদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিরও কৃষক প্রতিনিধি। গত বুধবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত হাসেমের বাড়ি মধ্যনগর ইউনিয়নের শাইল্যানী গ্রামে। তিনি কৃষির পাশাপাশি মধ্যনগর বাজারে ধানের ব্যবসা করেন।
২০১৭ সালে হাওরে শতভাগ ফসলহানীর হয়। ওই বছর কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজে মধ্যনগরের ঘোড়াডোবা হাওরে একটি প্রকল্পের কাজ করেন আবুল হাসেম। তখন কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে মোবারক হোসেন প্রায়ই ওই প্রকল্পের কাজ তদারকি করতে যেতেন এবং হাসেমকে কাজের নির্দেশনা দিতেন। গত মঙ্গলবার রাতে হাসেম ঘোড়াডোবা হাওরে ১৩৫ নম্বর প্রকল্পে গেলে কৃষকেরা জানায় বাঁধের কাজ ঠিকমতো হয়নি। এ সময় তিনি বাঁধের কাজের অনিয়ম নিয়ে কথা বলেন এবং এবারের প্রকল্পের কাজে মোবারক হোসেনের তদারকির তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। আর এ বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয় মোবারক হোসেন। পরে বুধবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে আবুল হাসেমকে থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করেন মোবারক।
লাঞ্ছিত আবুল হাসেম বলেন, ‘ঘোড়াডোবা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের অনিয়ম নিয়ে কথা বলায় আমাকে ডেকে নিয়ে মোবারক থাপ্পড় দিয়েছে। আমি যখন কাজ করেছিলাম তখন মোবারক আমার কাজ তদারকি করতেন আর এবারের কাজ তিনি তদারকি করেননি- এমন কথা আমি কৃষকদের সাথে বলেছি। তাই তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করেছেন।’
১৩৫ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি কামরুল জামান বলেন, ‘মোবারক হোসেনের মাধ্যমে আমরা এ কাজ (১৩৫ নম্বর প্রকল্প) পেয়েছি। আবুল হাসেম আমার বাঁধে এসেছিলেন। কিন্তু তখন আমি ছিলাম না। তখন সদস্য সচিব রেজাউল সেখানে ছিল। শুনেছি হাসেম রেজাউলের সামনে এমন কথা বলেছে। আর বাঁধের কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।’
তবে মোবারক হোসেন তালুকদার হাসেমের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমার সাথে এমন কোনো ঘটনা ঘটে নাই।হাসেম আর আমি মামা ভাগ্নে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, ‘যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই কৃষক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।