বঙ্গনিউজঃ জানেন কি এমন একধরনের চা এর কথা যা খেলে শুধু মন নয় শারীরিক নানান সমস্যার সমাধান হয়। এটি হল হল গ্রীন টি (Green Tea। মেটাবলিজমের মাত্রা বাড়িয়ে দ্রুত ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। পলিফেনল ও ফ্লাভেনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা –
গ্রিন টি এ রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন বি ,বি৫, ডি ,ই ,সি ,ই ,এইচ সেলেনিয়াম ,ক্রোমিয়াম , জিংক ,ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ,উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্রণে সাহায্য করে ,ওজন কমাতে সাহায্য করে , অবসাদ ও ডিপ্রেশন কমাতে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে , দাঁত ভালো থাকে ও মুখের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি, মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে। গ্রিন টি বার্ধক্য এবং বলিরেখা থেকে ত্বককে রক্ষা করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করে।
গ্রিন-টি খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপযুক্ত সময় :-
গ্রিন টি স্বাস্থ্যের পক্ষে যতটা উপকারী ঠিক এর বিপরীতে গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম না জানলে এর থেকে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে
v খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর গ্রিন টি পান করা উচিত।
v ব্যায়াম করার আধা ঘন্টা আগে গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি হয় এবং কার্যক্ষমতাও বাড়ে। ফলে ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে।
v সকালে নাশতা করার পরে বা বিকালে পান করা উচিত।
v গ্রিন টি খেলে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।
গ্রিন টি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হলেও সবার জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
v সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
v খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
v ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করা ঠিক নয়।
v কিডনির রোগীদের গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
v অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে যে টক্সিন নির্গত হয় তা সরাসরি লিভারে গিয়ে জমা হয়। যেখান থেকে পরবর্তীতে লিভার ড্যামেজের মতো সমস্যা হতে পারে।
v যারা বাচ্চা নিতে TRY করছেন, গর্ভবতী নারী, রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগী গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
v গ্রিন টি তে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হওয়া সত্বেও তা ২ কাপের বেশি খাওয়া ঠিক না। এর চেয়ে বেশি গ্রিন টি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে।
মানতাসা তাসনি্ম
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্ট
জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল