বঙ্গনিউজঃ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে পৃথিবীর বিশেষ কিছু স্থান কে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করা যায় । যা স্থানটিকে করে তুলেছে রহস্যময় ও অনন্য ।তেমনই একটি স্থানের বিশেষ কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
নানা বিষয়ে রহস্য ঘেরা দেশ তুর্কমেনিস্তান। এরই অন্যতম প্রাচীন তম শহর হিরাপোলিস । এখানেই রয়েছে একটি প্রাচীন মন্দির(Ancient Temple) যাকে ‘নরকের দরজা’(The Gate of Hell) বলে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে, যে এই মন্দিরের কাছাকাছি যান তাঁরই মৃত্যু নাকি অবধারিত। অন্যদিকে, এই মন্দিরে কেউ প্রবেশ করলে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলে না।সায়েন্স অ্যালার্ট ডট কম অনুসারে এই জায়গাটিকে নরকের দ্বার বলা হয়। কারণ, গত কয়েক বছর ধরে এই মন্দিরে যারাই যাচ্ছেন, তাঁদের রহস্যময় মৃত্যু হচ্ছে। এমনকী, এই মন্দিরের কাছাকাছি কোনও প্রাণী গেলেও তার মৃত্যু হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, এই মন্দিরে থাকা গ্রিক দেবতার বিষাক্ত নিশ্বাসেই মৃত্যু হচ্ছে এর সংস্পর্শে আসা সমস্ত প্রাণীদের। জানা যায়, গ্রিক-রোমানের রাজত্বকালে এই মন্দিরে নরবলি দেওয়া হত।
বলা হয় এই মন্দিরের সংস্পর্শে এলে মানুষ, জন্তু, এমনকি পাখিদেরও মৃত্যু অবধারিত। আর তার জন্যই এই মন্দিরের গেটকে The Gate of Hell বা নরকের দরজা বলে অভিহিত করেন স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর জানা যায়, এই মন্দিরের নিচ দিয়ে ক্রমাগত কার্বন ডাই অক্সাইড প্রবাহিত হয়। এছাড়াও এই মন্দিরের নীচের গর্তে রয়েছে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি। গর্তের আগুন মিথেন, একটি ক্ষতিকারক গ্রিনহাউস গ্যাসকে কার্বন ডাই অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। আর তার জন্যই এই মন্দিরের সংস্পর্শে আসে তাদেরই মৃত্যু হয় তাৎখনিক।
অদ্ভুত এই মন্দিরকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে রহস্য দানা বেঁধেছে পর্যটক থেকে বিজ্ঞানীদের মনে। তবে, মৃত্যুর এই রহস্যের মাঝে কেউ সামনে থেকে দেখতে যাওয়ার সাহস পান না। ৮ জানুয়ারী ২০২২, তুর্কমেনিস্তানের রাষ্ট্রপতি গুরবাংগুলি বার্দিমুখামেদভ দারভাজা “গ্যাস ক্রেটার” নামে পরিচিত এই খাদটিতে কয়েক দশকের পুরানো দাবানল নিভিয়ে ফেলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি কাছাকাছি বসবাসকারীদের নিরাপত্তার উদ্বেগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন।
সংকলনে:মাসুম আজাদ