বঙ্গনিউজঃ বিখ্যাত ইংরেজ লেখক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক ডি. এইচ. লরেন্স তথা ডেভিড হারবার্ট রিচার্ডস লরেন্সের ৯৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ । ১১ সেপ্টেম্বর ১৮৮৫ সালে তিনি
ইস্টউড, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড এ জন্মগ্রহণ করেন । এবং ১৯৩০ সালের ২রা মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন । লরেন্সের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ উপন্যাসগুলি হল: সনস অ্যান্ড লাভার্স, দ্য রেইনবো, উইমেন ইন লাভ ও লেডি চ্যাটার্লি’জ লাভার। এই উপন্যাসগুলির মধ্যেই লরেন্স শিল্পযুগের প্রেক্ষাপটে জীবন ও জীবনধারণের সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখেছেন। নির্দিষ্টভাবে বললে এই পরিমণ্ডলে মানবীয় সম্পর্কের স্বরূপ কী হতে পারে তা লরেন্সের নখদর্পনে ছিল। মাঝে মাঝে বাস্তবতাবোধের সঙ্গে সংঘাত ঘটলেও তার চরিত্রগুলিকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন যাতে তার দর্শনচিন্তার প্রেক্ষিতে তাদের বোঝা সহজ হয়।
তার বিখ্যাত উক্তি গুলোর মধ্যে একটি,”আমি এমন কোনো বন্য জীবের কথা জানি না, যে নিজের জন্য দুঃখ অনুভব করে। নিজের জন্য একটুও দুঃখ অনুভব না করে একটা ছোট্ট পাখি পর্যন্ত ঠাণ্ডায় জমে মরে নিচে পড়ে যায়।” — “সেলফ-পিটি”
লরেন্স অনেক ছোটগল্প রচনা করেন। তার সর্বাধিক প্রশংসিত গল্পসংকলনের মধ্যে ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “দ্য প্রুশিয়ান অফিসার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ” বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার অন্যান্য জনপ্রিয় গল্পগুলো হল দ্য ক্যাপ্টেন’স ডল, দ্য ফক্স, দ্য লেডিবার্ড, অডর অব ক্রিসানথেমামস, দ্য প্রিন্সে, দ্য রকিং হর্স উইনার, সেন্ট মাওয়ার, দ্য ভার্জিন অ্যান্ড দ্য জিপসি ও দি ওম্যান হু রোড অ্যাওয়ে।লরেন্স মূলত তার উপন্যাসগুলির জন্য বিখ্যাত হলেও, তিনি রচনা করেছিলেন প্রায় আটশো কবিতা, যার অধিকাংশই ছিল তুলনামূলকভাবে ছোটো
অন্যান্য সাহিত্যিকদের রচনাপ্রসঙ্গে লরেন্সের সমালোচনা তার নিজস্ব চিন্তাধারা ও রচনার গভীর অন্তর্দৃষ্টির সাক্ষর রেখে যায়। এই ক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল স্টাডিজ অব টমাস হার্ডি অ্যান্ড আদার এসেজ ও স্টাডিজ ইন ক্ল্যাসিক আমেরিকান লিটারেচার। লরেন্স মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও তার গুরুত্ব, স্বাভাবিকতা, ও মানব জীবনে যৌনপ্রবণতার ভূমিকা প্রভৃতি বিষয়কে উপজীব্য করেছেন।