প্রকাশনী ও পত্রিকার শুদ্ধ চিন্তন ও মননের উৎকর্ষে স্বপ্নদ্রষ্টা কবি পল্লব রায়। বাংলাদেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির তীর্থভূমি নড়াইল জেলার রাম নগর চর গ্রামে ৩রা আশ্বিন ১৩৯২ বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- অসীম রায়, একজন কৃষক। মাতা- বেবী রায়, একজন গৃহিনী। বিবাহিত জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। কাব্যদেবীর প্রেমে ও পূজায় আত্মোৎসর্গকৃত মিতভাষী ও নিভৃতচারী এ মানুষটি ছোটবেলা থেকে লেখালিখির সাথে যুক্ত থাকলেও তিনি সর্বদাই প্রচার ও প্রকাশ বিমুখ থেকেছেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রকাশনী ও প্ত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে স্ক্রিপ্ট লেখাসহ টুকটাক অভিনয়ও করেছেন। মঞ্চকর্মী হিসিবেও তিনি সুপরিচিত। এখন তিনি “বর্ণিকা প্রকাশন” নামে একটি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নড়াইলে কর্মরত রয়েছেন। সমকালীন কবিদের মধ্যে সমাদৃত ও নন্দিত একটি নাম কবি পল্লব রায়। “মানুষ ফুলের মধু” তার প্রকাশিত পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থটি পাঠকনন্দিত হবে বলে আমি আশাবাদী। তার কবিতার মতোই তিনি এক সরলপ্রাণ ও দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ। তাই ব্যক্তি পল্লব রায়কে জানতে হলে তার কবিতার দ্বারস্ত হওয়াই উত্তম। আমি বিশ্বাস করি- “মানুষ ফুলের মধু” কাব্যগ্রন্থটি তাকে প্রেমিক কবি হিসেবে পাঠক হৃদয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।
তার প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- কৃষ্ণকুসুম (২০১৬); পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবার পর(২০১৭); এক পেয়ালা রক্ত চাই(২০১৮); ক্রুশবিদ্ধ হৃদয় (২০২০)।