স্টাফ রিপোর্টার,বঙ্গ-নিউজঃসুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার টিটু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদের ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত রোববার রাত ৮টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
কামাল হোসেন মধ্যনগর ইউনিয়নের টুকেরবাজার বণিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সম্প্রতি নতুন সভাপতি নিযুক্ত করার বিষয়টি সামনে আসলে টিটুর সমর্থক আব্দুল হালিম সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য নিজের নাম আত্মপ্রকাশ করে। এ খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ও তার বড় ভাই আর্শাদ মিয়া মুঠোফোনে হালিমকে সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার জন্য হুমকি দেয় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। হালিম বিষয়টি টিটুকে জানায়। অপরদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর বাজারে টিটুর আরেক সমর্থক বাবলু বিশ্বাসকে মারপিট করে মোস্তাকে ভাইয়েরা। বিষয়টি বাবলু টিটুকে ফোনে জানালে টিটু মোস্তাককে ফোনে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং টিটু ৭টি মোটরসাইলে অন্তত ১৫/২০ জন লোক নিয়ে মধ্যনগর বাজারের দিকে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে খালিশাকান্দা নামক স্থানে মোস্তাকের ছোট ভাই রেজাউল, জুয়েল ও সুলেমানের সাথে টিটুর সংঘর্ষ হয়। এতে টিটু, রেজাউল, জুয়েল ও সুলেমান আহত হয়। সংঘর্ষের সময় সেখানে সাবেক ইউপি সদস্য মফিজ তালুকদারের ছোট ভাই জিয়ারুল টিটুর পক্ষে উপস্থিত ছিল- এমন খবর শুনে মধ্যনগর বাজারে মফিজ তালুকদারের ওপর হামলা চালায় মোস্তাকের ভাইয়েরা। এতে মফিজ আহত হয়। ওইদিন রাতে টুকেরবাজারে মোস্তাকের ছোট ভাই আলামিনের দোকান ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আলামিন নিজেই তার দোকান ভাঙচুর করেছে।
এদিকে গত রোববার রাত ৮টার দিকে চেয়ারম্যান সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার টিটুর পক্ষে তাঁর চাচাতো ভাই সমরেন্দ্র তালুকদার, টিটুর সমর্থক বাবলু বিশ্বাস ও নূরুল হক তালুকদার মোস্তাকসহ তার ভাইদের অভিযুক্ত করে এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদের ছোট ভাই কামাল হোসেন টিটুসহ তঁার (টিটু) সমর্থকদের অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে সোমবার সকালে সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার টিটু চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায় নি।
মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘টিটু আমাকে মোবাইলে কল করে মধ্যনগর বাজারে এসে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আর আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় বাসায় বিশ্রামে ছিলাম। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার নাম এতে জড়ানো হচ্ছে।থ
মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল চন্দ্র দেব বলেন, ‘উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।