আমার শহরে শীত নেই
তবু আমি শীতার্ত।
আমার শহরে রৌদ্রজ্জ্বল সূর্যের দিন
আর আমার চোখের সামনে কুয়াশামাখা চাদর।
আমি আকুলিবিকুলি করছি, সকালের সূর্য দেখবো বলে…
আর সূর্যরশ্মি ছড়ায় দিচ্ছে উষ্ণতা… আমার শহরে, কি অকৃপণ ভাবে।
আমার শহরে আমি নেই…
তুমি নেই…
আমার একাকী শহর ভেসে যায় … অকৃত্রিম সূর্য সান্নিধ্যে।
আর আমি … আনন্দহীন বিরহকাল পেরুই দূরে…
বহু দূরে।
আমার শহরের শীতের প্রথম সূর্যের লাল রেখার কাছে
আমার অনুরোধ, ফিরিয়ে দাও আমার অভয়ারণ্য, ফিরিয়ে দাও আমাকে।
যে শহরে আমরা ছিলাম, সে শহর ফিরে পেতে চাই।
ফিরে যেতে চাই সেই সময়।
ফিরে পেতে চাই তোমাকে।
আকাশের নীল আমাকে তোমার কথা মনে পড়ায়।
জলাশয়ে আকাশের প্রতিবিম্ব আমাকে তোমার কথা মনে পড়ায়।
এতো মনে পড়ে… তবু মন কেমন করা অপরাহ্নে তুমি দীর্ঘ ছায়া ফেলে কেন ফিরে আসো না?
তুমি আমার নাগরিক অতলান্তে এক সাধারণ বৃষ্টি হয়ে কেন ঝরো না?
তুমি আমার আরণ্যক অধিবাস্তবতায় নাগরিক সখা হয়ে চলে এসো, কোনো এক চন্দ্ররাতে চন্দ্রাহত প্রতীক্ষার প্রহর ভেঙ্গে দিয়ে।
আমার এই দুচোখে তোমার অনিন্দ্য সুন্দর নীল চোখের মায়া।
আমি শীতার্ত, আমি আমার প্রতিটা কবিতায় তোমার অপেক্ষায় নীল।
তুমি চলে এসো এক ভোরে, আমার শহরে।