করোনা সংক্রমণের মাত্রা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে

Home Page » স্বাস্থ্য ও সেবা » করোনা সংক্রমণের মাত্রা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে
শনিবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২২


 ফাইল ছবি

বঙ্গনিউজঃ  করোনার সংক্রমণের মাত্রা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও সংক্রমণের হার। হাসপাতালগুলোয় বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৩৩ শতাংশ শয্যা রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। এমনকি শিশুরাও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বিগত দুটি ঢেউয়ের তুলনায় এত দ্রুত বাড়ছে যে, পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা। চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া সব ধরনের অফিস-আদালাত অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কোনো সামাজিক কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ ১০০ জন উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি টিকা সনদ ছাড়া কেউ যেন কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়নগণ

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১১ হাজার ৪৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা গতকালের তুলনায় ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন ধরন সুপার ভ্যারয়িন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী সতর্ক অবস্থা চলছে। বাংলাদেশেও নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশব্যাপী ১৫টি নির্দেশনা প্রদান করেছে। নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে পালনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী সময়ে ১১ দফা নির্দেশনা দেয়। এর মধ্যে শুক্রবার আবার ৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোভিডের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। সেটি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইয়েদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পদক্ষেপটা যুক্তিযুক্ত। এটা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আরেকটা জনসমাগমের জায়গায় অর্থাৎ মেলাগুলোয় টিকা সনদ নেওয়ার কথা বলেছে, সেটি প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে মেলাগুলোও দুই সপ্তাহ স্থগিত রাখা দরকার ছিল। আমরা দেখছি টিকা ওমিক্রনের সংক্রমণ থামাতে পারে না। এক্ষেত্রে সরকারের উচিত গণহারে মাস্ক সরবরাহ করা। বিশেষ করে যাদের মাস্ক কেনার সক্ষমতা নেই। মাস্ককে পোশাকের মতো অবশ্যই ব্যবহার্য মনে করে ব্যবহার করতে হবে। বয়স্ক অসুস্থ প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এখনো টিকা পাননি। তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনা। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর পাশাপাশি এই পদক্ষেপগুলা বাস্তবায়ন করলে অবশ্যই সংক্রমণের গতি হ্রাস করা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী : শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন- দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া এর আগে যে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো বলবৎ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ৩৩ শতাংশ শয্যা ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিয়েশাদি, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না এবং সবার টিকা সনদ থাকতে হবে। এ ছাড়া ১১ দফা বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়, সে জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশ ও নিজের সুরক্ষার জন্য নিয়মগুলো মানার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিধিনিষেধ দিতে পারে; কিন্তু সেগুলো প্রতিপালনে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, যেখানে খেলাধুলা আছে সেখানে টিকা সনদের পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষার সনদও লাগবে। এগুলো বইমেলায়ও দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বইমেলা পেছানো হয়েছে। বাণিজ্যমেলাতেও এর প্রতিপালন দেখা যাবে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইব, তারা যেন আরও নজরদারি বাড়ান। জনগণের দায়িত্ব আরও বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় এটি নিজেদেরই পালন করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে টিকার লক্ষ্যমাত্রা ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। আমরা সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলে এসেছি। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ টিকা দিয়েছি। হাতে ৯ কোটি ডোজ আছে। আমরা জনসনের তিন লাখ ৩৭ হাজার টিকা পেয়েছি, আরও আসবে।

অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস-আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এটা খুব শিগগিরই প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে। গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে ‘আশঙ্কাজনকহারে’ বাড়ছে রোগী : করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশের হাসপাতালগুলোতে ‘আশঙ্কাজনকহারে’ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও যেখানে হাসপাতালগুলোর শয্যা খালি ছিল, সেখানে রাজধানীর কোভিড হাসপাতালগুলোর অর্ধেকের বেশি শয্যা রোগীতে পূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ৬৪ শয্যার ৪৮টিতে রোগী ভর্তি হয়েছেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৭৫ শয্যার ১৫৭টিতে রোগী রয়েছেন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ৩৩ শয্যার ১৭টিতে রোগী আছেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪৮৫ শয্যা মধ্যে ২৯০ কোভিড রোগী চিকিৎসাধীন, এমনকি রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালের ৪৭০ শয্যার ২২১টি কোভিড রোগীতে পূর্ণ। এ ছাড়া রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে এএমজেড এবং ইবনে সিনায় কোনো শয্যা খালি নেই। পাশাপাশি স্কয়ার, ইউনাইটেড, আসগর আলী, এভার কেয়ার, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের কোভিড শয্যার সামান্যই ফাঁকা আছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনিই রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে, যদিও মৃত্যুহার এখনো কিছুটা কম। হাসপাতালের শয্যার এক-তৃতীয়াংশ রোগীতে ভরে গেছে- এটাও আশঙ্কাজনক। এভাবে বাড়লে ঢাকা শহরের সব হাসপাতালেই আর শয্যা খালি পাওয়া যাবে না।

এক কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে : করোনা প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা হয়েছে কিছুটা দেরিতে। দেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে ১ কোটি ২৯ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত টিকা পেয়েছ এক কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৯ জন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭১১ জন। তবে শিক্ষার্থীদের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

টিকা দেওয়া হয়েছে ১৫ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডোজ : বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়েছে ১৫ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৪ ডোজ। এর মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই টিকা নিয়েছেন ১৪ লাখের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ১১ লাখ তিন হাজার ৬৯৫ জন প্রথম ডোজ এবং তিন লাখ ২৯ হাজার ৯৮৭ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। জানা গেছে, দেশে মোট ১৫ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৪ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ জনকে প্রথম ডোজের টিকা এবং পাঁচ কোটি ৮০ লাখ পাঁচ হাজার ২৫৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫২ জন বুস্টার ডোজের টিকা পেয়েছেন। করোনা টিকা গ্রহণের জন্য এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন আট কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ জন। এদের মধ্যে আট কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ২৯ জন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে, ১২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৪ জন পাসপোর্টের মাধ্যমে এবং ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪১ জন জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে নিবন্ধন করেন।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে চীনের সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, ফাইজার বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা যুক্ত হয়। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৩৪ জন। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছ ১২ জনের। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে এর থেকে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ আগস্ট। সেদিন ১১ হাজার ৪৬৩ রোগী শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারিও শনাক্ত ছিল ৪০০-এর নিচে। এদিন ৩৭০ জন শনাক্ত হন। গত ৬ জানুয়ারি হাজার ছাড়িয়ে যায় শনাক্ত। গত ১৬ জানুয়ারি শনাক্ত ৫ হাজার ছাড়ায়। গত ২০ জানুয়ারি সেটি দ্বিগুণ হয়ে ১০ হাজার ছাড়িয়ে ১০ হাজার ৮৮৮ জন হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (২০ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) শনাক্ত ১১ হাজার ৪৩৪ জন নিয়ে সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন। শনিবার ১০ হাজার ৮৮৮ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৯২ জন। গতকাল চার জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয় অধিদপ্তর থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৫২ জন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৭ জন।

অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪০ হাজার ৪২৩টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ১৩৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন আর নারী পাঁচজন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে পুরুষ ১৮ হাজার ২৪ জন এবং নারী ১০ হাজার ১৬৮ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:০৭:০৪ ● ৪২৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ