বঙ্গনিউজঃ দলের বহু লড়াই, সংগ্রামে সারথী তারা। নেতাকর্মীদের কাছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে আবারও নিজেদের প্রমাণ করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম সদস্য সচিব। তাদের সুদক্ষ নেতৃত্ব নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে করেছে ঐক্যবদ্ধ। শেষ মুহূর্তে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে নেমেছেন শুরুতে কার্যত নিস্ক্রিয় থাকা নেতাকর্মীরা। যার ফলে বিজয় তুলে নিয়েছে নৌকা।
যুবলীগের চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদক থাকতে সব সময় দলীয় আন্দোলন, সংগ্রামে অগ্রগামী ছিলেন নানক-আজম। সেই থেকে জুটি বলেও পরিচিত তারা। বিডিআর বিদ্রোহে বুক চিতিয়ে সামনে ছিলেন তারা। সরকারের পক্ষে বিদ্রোহীদের বন্দুকের নলের সামনে যেতে দ্বিধা করেননি। দলের বড় সমাবেশ, জমায়েত, আয়োজন মানেই সেখানেও নানক-আজমের অগ্রগণ্য ভূমিকা অবধারিত।
নানা কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শামীম ওসমানের মতো হেভিওয়েট নেতাকে বাগে রাখা, সেলিম ওসমানের মতো প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্যকে পক্ষে রাখা কিংবা নিষ্ক্রিয় করে রাখার কাজটি যে নানক-আজম ভালোভাবেই করেছেন তা ভোটের ফলেই পরিষ্কার।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমের মতো পোড় খাওয়া নেতাদের নিয়ে নানক-আজম নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে যা যা প্রয়োজন সবই করেছেন। বরাবরের মতো তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা, যোগ্যতা আর শতভাগ আন্তরিকতা এখানেই প্রমাণিত। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও বলছেন, নারায়ণগঞ্জে নৌকাকে বিজয়ী করতে নানক-আজমের বিকল্প ছিল না। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ক্রাইসিস মুহূর্তে তাদের বেছে নিতে ভুল করেননি। দলীয় সভাপতির আস্থার মর্যাদাও দিয়েছেন দেশজুড়ে যুবলীগের শক্তভিত গড়ার দুই কারিগর নানক-আজম।