যেসব কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক

Home Page » স্বাস্থ্য ও সেবা » যেসব কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক
সোমবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২২


প্রতীকী ছবি

বঙ্গনিউজঃ  যেকোনও কাজের সফলতার ধারণা সবার আগে মাথায় আসে। আপনি প্রথমে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেই সাফল্যের জন্য কাজ করার পরিকল্পনা করেন, এরপরে আপনি দেখতে পান কীভাবে আপনার স্বপ্ন ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাস্তবে এইভাবে আপনি বুঝতে পারবেন আমাদের শরীরের জন্য মস্তিষ্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মন আমাদেরকে যে কোনও কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করে। এই মন বা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার সামগ্রিক দায়িত্ব কিন্তু আমাদের।

এমন পরিস্থিতিতে মনকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। মন নিজে সুস্থ না থাকলে কারও কারও পক্ষে কোনও কাজে সফল হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু অনেক সময় আমাদের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের অনেক ক্ষতি করে। এসব অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর প্রভাব আমাদের সারাজীবনে দৃশ্যমান হয়। এখানে এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে জানুন যা বদলে ফেলা অত্যন্ত জরুরি-

অত্যধিক রাগ-
বলা হয় রাগ আমাদের বিবেককে ধ্বংস করে। কিন্তু কিছু মানুষ ছোটখাটো বিষয়ে রেগে যায়। রাগের কারণে রক্তের ধমনিতে চাপ পড়ে, যার খারাপ প্রভাব পড়ে মানুষের মনে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই শপথ নিন আপনি অত্যধিক বেশি রেগে যাবেন না।

অনিদ্রা-

ভাল ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের ক্লান্তি কমায় এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু কিছু মানুষের ঠিকমতো ঘুম হয় না বা দেরিতে ঘুমানোর কারণে তাদের ঘুম সম্পূর্ণ হয় না। এই ধরনের মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলো আরাম করতে পারে না। সেই কারণে তাদের মাথায় ক্লান্তি, অলসতা, ভুলে যাওয়া, একাগ্রতার অভাব ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই দিনে অন্তত ৯ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ঘুমানোর আগে ভাল কোনও বই পড়ুন এবং মোবাইলকে নিজের থেকে দূরে রাখুন। এতে আপনি সহজেই ঘুমাতে পারবেন।

মুখ ঢেকে ঘুমাবেন না-

কেউ কেউ রাতে ঘুমানোর সময় মুখ ঢেকে ঘুমালে বেশি আরাম পান। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে আপনার এই অভ্যাসটি আপনার মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কারণে শরীর যথেষ্ট অক্সিজেন পায় না। যা মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে।

অতিরিক্ত খাওয়া-

কিছু লোক মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় দক্ষতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। অতএব আপনি আপনার খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে দেবেন না এবং অতিরিক্ত চিনি খাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করবেন।

প্রাতরাশ না করা-

সকালের খাবার শরীরের জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। এটি গ্রহণ না করলে আপনার মস্তিষ্ক দিনের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এর প্রভাব আপনার মস্তিষ্কে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৫:৫১ ● ১০৭৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ