বঙ্গনিউজঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বুধবার এই আদেশ দেন।
এর মধ্য দিয়ে মাদক মামলায় পরীমণির বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত।
মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট
এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে পরীমণিসহ অপর অভিযুক্ত দু’জন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আদালতে।
মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামিরা আদালতে আবেদন করেছিলেন। এই আবেদন নাকচ করেন আদালত।
গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত থেকে বনানী থানায় মাদক আইনে করা মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
পরীমণির মামলা তদন্ত করবে ডিবি
এর আগে, ১০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার অন্য দুই আসামি কবীর হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম দিপুও জামিনে আছেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। গ্রেপ্তারের পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বিরুদ্ধে মাদক মামলা
র্যাবের জব্দ তালিকায় পরীমণির বাসা থেকে ‘মদ, আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।
পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর বার বার রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে হাইকোর্ট তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরে গত ৩১ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে তার জামিনের আদেশ হয়। পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান।
যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চান, তাদের ওয়েলকাম: পরীমণি
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেখান থেকে তার কথিত মামা আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বাসা থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল, বোতলভর্তি মদ, ইয়াবা, আইস ও এলএসডি জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করে র্যাব। একই দিন র্যাব পরীমণির ঘনিষ্ঠজন ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার ও মাদক জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। বনানী থানায় পরীমণির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ছিলেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান।
নিজের শক্তির উৎস জানালেন পরীমণি
এজাহারে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, বনানীর একটি বাসায় পরীমণি সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে বাসায় সংরক্ষণে রেখেছেন। তার শয়নকক্ষের একটি কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। প্রতি বোতল মদের দাম ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া চার গ্রাম আইস ও একটি এলএসডি ব্লট উদ্ধার করা হয়। একই মামলায় কবির নামে আরেকজনকেও আসামি করা হয়।