১১.স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় :
মুজিব নগর সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সম্পূর্ন বাংলাদেশকে মোট ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করে , প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্ব পূর্ব-পাকিস্তানের এক-এক জন সেনা-অফিসার অর্থাৎ সেক্টর কমান্ডারের নিকট অর্পন করেন৷আমরা এ কলামের পূর্বের পর্বগুলোতে “প্রতিটি সেক্টর ও সেক্টর-কমান্ডারগণের পরিচিতিসমূহ” জেনে নিয়েছি৷
২৫শে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ চালালে বাঙ্গালি ছাত্র- জনতা, পুলিশ, ইপিআর সদস্য, সেনাবাহিনী তাদের সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের একেবারে সূ না পর্বে বাঙ্গালির প্রতিরোধ অসংগঠিত হলেও তা হতে স্পষ্ট হয়ে যায়, বাঙ্গালি ছাত্র-জনতা, পুলিশ, ইপিআর ও সেনাসদস্য বিনা ্যালেঞ্জ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ছাড় দিবেনা। সেই প্রতিরোধ পর্বে আরো স্পষ্ট ছিলো বাঙ্গালি স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গে প্রস্তুত। সূচনা পর্বে সশস্ত্র প্রতিরোধ ছিলো স্বত:স্ফূর্ত ও আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধকারীরা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে পাননি। তথাপি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে রুখে দাঁড়ায়। কেননা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবে ঘোষণা করে বলেছিলেন, “আর যদি একটি গুলি লে, আর যদি বাংলার মানুষকে হত্যা করা হয়, তবে আমি হুকুম দিতে না পারলেও বাঙ্গালি যেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলো”। বঙ্গবন্ধুর এ ঘো ষণা ও নির্দেশনা ছিলো অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। মূলতঃ এ নির্দেশনা অন্তরে গ্রহণ করেই বাঙ্গালি ছাত্র-জনতা-পুলিশ- ইপিআর-সেনা সদস্য সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। নিম্নে তার কিছু দৃষ্টান্ত আলোচনা করা হলো :
জয়দেবপুরে ২৫ শে মার্চ রাতেই দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। ২৬শে মার্চের মধ্যেই এখানে অবস্থানরত পাঞ্জাবি সৈনিকরা পূর্ব-পাকিস্তানের বাঙালিদের হাতে বন্দি হয়। ২৯ মার্চ বিমানবাহিনীর সহযোগিতায় পাক সেনাবাহিনী জয়দেবপুর দখল করে।
২৬মার্চে টাঙ্গাইলে যুদ্ধকে সুসংগঠিত করতে লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠে স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ। হাইকমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষা না করেই কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একদল সাহসী তরুণ সার্কিট হাউসে আক্রমণ করে দখল করে নেয়। এখানে অবস্থানরত ১৫০ বাঙ্গালি সৈন্য কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগ দেয়।
ময়মনসিংহে স্থানীয় যুবকরা ২৭ মার্চে ইপিআর ক্যাের -এর ম্যাগাজিন রুমে ঢুকে অস্ত্রলুট করে যুদ্ধ শুরু করে। ঢাকায় আক্রমণের খবর পরদিন মাইক যোগে প্রচার করা হলে অসংখ্য লোক ফরিদপুরের রাস্তায় নেমে আসে। মাদারীপুরের তৎকালীন এসডিও সৈয়দ জেরাউল হায়াত ২৬ মার্চ ট্রেজারি থেকে রাইফেল বের করে ছাত্র জনতাকে দেন। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক আদালতে তার ১৪ বছরের জেল হয়।
পাবনায় ২৫ মার্চে পাক সেনারা ঘাঁটি স্থাপন করলে ২৬ মার্চে জেলা প্রশাসক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন স্তরের জনগণ পুলিশ লাইনে সমবেত হন। এই সমাবেশে পাবনার ডিসি পুলিশ লাইনের সব অস্ত্র বিপ্লবী জনতা, পুলিশ ও ইউপিআর সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করেন। ২৬ মার্চ দুপুর হতেই কারফিউ ভঙ্গ করে এই অস্ত্র দিয়ে জনতা পাক সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়। নওগাঁয় ২৬ মার্চে মো. আব্দুল জলিলকে আহবায়ক করে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১১টি থানা থেকে অস্ত্র জড়ো করে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত— নওঁগা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে ছিলো।
খুলনায় পুলিশ সুপার এ. কে. খন্দকার ট্রেজারি থেকে ৩৫০টি রাইফেল ২৭ মার্চ সকালে বিপ্লবী জনতাকে প্রদান করে। এখানে আক্রমণ করলে বাঙ্গালি জোওয়ানরা রুখে দাঁড়ায়। ভারী অস্ত্রের মুখে ইপিআর সদস্যরা পরাজিত হলেও তাদের সাহসী আত্মত্যাগ পরবর্তীতে প্রেরণা যুগিয়েছে। পিলখানায় প্রায় ৭শ’ ইপিআর সদস্য নিহত হন। চট্টগ্রামের ইপিআর এডজুডেন্ট ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম ২৫ মার্চ রাত সাড়ে এগারোটায় বিদ্রোহ করে পশ্চিম পাকিস্তানি ইপিআর সদস্যদের গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তী তিনদিন তিনি চট্টগ্রাম শহর দখলে রাখেন। ২৬ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রামের কুমিরায় ইপিআর সদস্যদের বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। এতে প্রায় দুশ’ পাক- সেনা নিহত হয়। রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, রংপুর, যশোর, সিলেটেও ইপিআর সদস্যরা ২৫ মার্চ মধ্যরাতে অথবা ২৬ মার্চ সকালে বিদ্রোহ করে।
২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাস আক্রমণ করে। প্রায় এক হাজার বাঙ্গালি সৈন্য হামলায় নিহত হন। চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ২৫শ বাঙ্গালি সৈন্য ছিলো। তারা একত্রে চট্রগ্রামের সেক্টর-কমান্ডারের নেতৃত্বে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চট্রগ্রামকে বিপদমুক্ত রাখেন ৷
বাঙ্গালির সশস্ত্র প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনীর সাহসী অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ২৫-২৭ মার্চের মধ্যে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজমাহী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর ও রংপুরসহ বিভিন্ন পুলিশ ব্যারাক, থানা ও
ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়ে বহু পুলিশকে হত্যা করে। পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশ বাহিনী এসব এলাকায় ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে। বহু পাকিস্তানি সৈন্যকে হতাহত করে। প্রাথমিক প্রতিরোধের সাফল্য ছিল ক্ষণস্থায়ী। তবে তা ছিলো দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পুলিশ বাহিনীর এরপর বিভিন্ন রণাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে কৃতিত্ব প্রদর্শন করে।
* পরিকল্পিত যুদ্ধ ও ১১টি সেক্টর গঠন : মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে মুজিবনগর সরকার
দেশের যুদ্ধক্ষেত্রকে ১১টি ভাগে বিভক্ত করে। ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয় মুক্তিফৌজ বা মুক্তিবাহিনী। এর প্রধান সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত হন আতাউল গণি ওসমানী। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে। সূচ না পর্বে এদের যুদ্ধ ও প্রতিরোধ ছিলো
স্বত:স্ফূর্ত, তবে অপরিকল্পিত। এ প্রেক্ষাপটে বাঙ্গালি সেনা অফিসাররা যুদ্ধকে একক কমান্ডে পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছিলেন।
উপরন্তু, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং বিভিন্ন যুদ্ধ এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্যও তারা মুক্তিযুদ্ধকে একক কমান্ডে আনার পক্ষপাতি ছিলেন। ১১-১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের সভাপতিত্বে বাঙ্গালি সেনা অফিসারদের অধিবেশনে সীমানা চিহ্নিতকরণ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরিলা ঘাঁটি স্থাপন ইত্যাদি রণনীতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে সর্বাধিনায়ক , কর্নেল রবকে বাংলাদেশ বাহিনীর চীফ অব স্টাফ এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকারকে ডেপুটি চীফ অব স্টাফ নিযুক্ত করা হয়। মুক্তযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে বন্দী৷ মুজিবনগর সরকারের প্রধান জাতীয় চার নেতা এই বৈঠকে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে সীমানা করা হয়। প্রতিটি সেক্টরে একজন কমান্ডার নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে যুদ্ধকে আরো গতিশীল করতে তিনটি ফোর্স বা বিগ্রেড গঠন করা হয়।
* মিত্রবাহিনী গঠন ও চূড়ান্ত বিজয় :
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান একতরফাভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় তাদের সৈন্য পাঠায়। ভারত-বাংলাদেশের সৈন্যদের নিয়ে গঠিত হয় ‘মিত্র বাহিনী’। মিত্র বাহিনী ও গণবাহিনী একযোগে বাংলাদেশের অভ্যন্ত রে আক্রমণ পরিচালনা করতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানি বিমানঘাঁটির উপর আক্রমণ চালাতে থাকে। নৌপথে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও ভারতীয় নৌবাহিনী একযোগে পাকিস্তানি বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়। দ্রুত বিজয় অর্জিত হতে থাকে।
মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী ৭ ডিসেম্বর যশোর সেনানিবাস দখল করে নেয়। অত:পর যৌথবাহিনী সাতক্ষীরা দখল করে খুলনার দিকে অগ্রসর হয়। মিত্র বাহিনীর একটি দল টঙ্গী, জামালপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ মুক্ত করে অগ্রসর হয় রাজধানীর দিকে। অপরদিকে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর একটি বড় দল ঘিরে ফেলে ময়নামতি সেনানিবাস। এভাবে বিজয়ের দ্বারাপ্রান্তে পৌছে যায় বাঙালী।
এ পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ দেশের অভ্যন্তরে শান্তি শৃক্সখলা বজায় রাখার আহবান জানিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণ দেন। এরপর
থেকে প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চলের বিজয় খবর আসতে থাকে। ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে যৌথবাহিনীর দখলে আসে মাগুরা, নড়াইল ও ঝিনাইদহ। বিদেশী নাগরিকদের ঢাকা ত্যাগ করার সুযোগ দিয়ে ১০ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী সর্বপ্রকার বিমান হামলা বন্ধ রাখে। ১২ ডিসেম্বর মুক্তি হয় কুষ্টিয়া এবং ময়মনসিংহ। মুক্ত টাঙ্গাইলে স্বাধীনতার পতাকা উড়ে ১৩ ডিসেম্বর। ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পশ্চিমা-বাহিনী আরেক দফা গণহত্যা চালায়। এ হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয় হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন আলবদর, আল শামস বাহিনী। তারা বাঙ্গালি শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ অনেক বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
সৈন্য নিয়ে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেন, আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন লে: জেনারেল নিয়াজী ও মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা , এ সময় বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী অসুস্হ থাকায় আত্মসমর্পণ-অনুষ্ঠানে উপস্হিত হতে পারেন নি । মুক্তিবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি চীফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার এবং কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান কাদের সিদ্দিকী। নিয়াজীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে অভুদ্যয় ঘটে বাংলাদেশের।
দীর্ঘ নয় মাস রাজনৈতিক সংগ্রাম শেষে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে গতিশীল ও সুপরিকল্পিত করতে মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের রণক্ষেত্রকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে। ডিসেম্বরের শুরুতে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে মুক্তিযুদ্ধ ভিন্নমাত্রা পায়। ভারত-বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত হয় মিত্র বাহিনী । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এভাবেই মিত্রবাহিনী গঠনের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে সরাসরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ৷ মিত্রবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হতবিহবল হয়ে পড়ে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা ছাড়া সব রণাঙ্গন পাক সেনাবাহিনীর হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তান-সেনাবাহিনী রেসকোর্স উদ্যানে আত্মসমর্পণ করে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। (চলবে ) ৷তথ্যসূত্র : বুকস্ , ইন্টারনেট ৷
লেখক: ফারহানা আকতার, পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক, র্আন্তজাতিক রবীন্দ্র গবষনা ইনস্টিটিউট ৷ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, লেখক ও গবেষক ৷